এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলাফলে দেশের ২০২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। বৃহম্পতিবার সকাল ১০টায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এবার সে সংখ্যা বেড়ে ২০২টি। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীই পাস করেছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০২৪ সালে ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি। তার মানে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১০৪৩টি।
শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে- এমন কোনো প্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নেই। শূন্য পাসের বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর বোর্ড, সেখানকার ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করেনি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৩৪টি প্রতিষ্ঠান, রাজশাহীর ৩৫টি, কুমিল্লার ৯টি, যশোরের ২০টি, চট্টগ্রামের ৫টি, বরিশালের ১২টি, সিলটের ৪টি, ময়মনসিংহের ১৫টি এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে।
শতভাগ পাস করা ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের ৬৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
ঢাকা বোর্ডে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের, রাজশাহীতে ১৮টি, কুমিল্লায় ৫টি, যশোরে ৫টি, চট্টগ্রামে ৮টি, বরিশালে ২টি, সিলেটে ৩টি, দিনাজপুরে ১১টি এবং ময়মনসিংহে ৩টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজেদের অফিসে বসে ফল প্রকাশ করেন। ঢাকায় সমন্বিত ফল প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
২০২৪ সালে এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ; তাদের মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল।